banglarsab.com

শুক্রবার, ১২ মার্চ, ২০২১

কবিতা পড়ুন, আনন্দে মাতুন শংকামুক্ত থাকুন


                  খুকুমনি


                            দাঁড়াও হে খুকুমনি

শোন মোর একটি কথা

এ ধরাতে বেঁচে থেকে

কাউকে দিও নাকো ব্যথা

বড়দের ব্যথা দিয়ে

জন্মাইও না ঋন

তোমাকেও হতে হবে বড় একদিন।  

সন্মানী হতে চাইলে

 সন্মান কর সবে
তুমিও সন্মানী
 এ সুন্দর বিশ্বে।। 

বাসনা

এক পা দু'পা

হেঁটে চলে সোনা

ওরে পক্ষীর ছানা 
মেলে দুটি ডানা।
মনের সুখে উড়ছ
আকাশ পথ ঘুরছ। 
উড়তে মোর বাসনা
বন্ধু মোরে নেবে না? 
উড়ব আমি তোমার মত
হাসব আমি শিশুর মত।
ডিংগি বেয়ে যাব না
জলের ভয় করব না।
উড়তে উড়তে ঘুমোব
তোমার নাম স্বরিব। 

শৈশব

শৈশবের স্মৃতিগুলো আজও পড়ে মনে
স্বজনহারা কান্না রেখেছি স্বরনে।
পাঠশালার বারান্দায় বসে শুনতাম বাংলার গান
কৃষানের জারি গানে জুড়াত মোদের প্রান।
শিক্ষকদের শাসনে কাঁদো কাঁদো হৃদয় 
আজও মনে পড়লে শৈশবে যেতে চায় মন।
মুরুব্বিদের সোহাগে হৃদয় ভরে যেত
শাসনেও তাদের অন্তরে বিরাট কষ্ট পেত।
হে শৈশব তুমি কি মোরে করেছ অবহেলা
সেটাও তো চলে গেছে ভেংগে হৃদয়ের তালা।
বিলের পানকৌড়ি ঘুরত বনান্তরে
পিছনে ধাওয়া করতাম জীবনের মায়া ছেড়ে।
অশ্বারোহীর অশ্ব দেখে ছুটতাম পিছু পিছু
মায়াময় ধরার বুকে ভয় পেতাম না কোনকিছু।
মুরুব্বিদের ভয় এড়াতে পালাতাম আখ ক্ষেতে
খড়কুটো দিয়ে ঘর বানাতাম আপন হৃদয়ে।
দু'দেড় পোয়া চাউল নিয়ে রাধতাম ইচ্ছেমত
ভোজন শেষে হৈ চৈ করতাম সকলে রীতিমত।
আমবাগানের রুশানিতে জুড়াত মোদের প্রান
চুরি করে খেতে পারলেই গাইতাম দেশের গান।

দাদু

 খোকা খুকু বলে দাদু
রাগ করো না আরে
যদি দেই মিষ্টি চুমু
মুখ করো না ভার। 
আমরা তোমার খেলার সাথী
বাবা চাচা তোমার কূলে 
জন্মেছিল শুধু একাএকি
মোরা কখনও যাব না ভুলে। 
আমরা সবাই ধন্য দাদু
তোমার ঘরে জন্ম নিয়ে
ভুলবো নাকো আমরা কভু
এই নীল দুনিয়ার পরে।
আমরা সবাই পন করেছি
তোমার আদরের পরশ পেয়ে
লেখাপড়া করে হব মহামনিষী
তোমার সমাজকে সেবিতে।।।।

দুষ্ট

মুরুব্বিগন বকতে থাকে দুষ্ট ছেলে বলে
যেখান খুশি সেখান যাব ঘুরব দেশান্তরে।
অতি ভ্রমণ চোরের লক্ষন বলে সবে ভাই
সেভালেও তো ঘুরতে থাকি প্রভাব ফেলতে চাই।
যুক্তি দিয়ে কর্নগোচর করে সকল ব্যক্তি
সরল পথে চলতে গিয়ে হয়েছি বিদূষী।
অহংকার করো না ভাই বদ নসীবে
তাহলে যে সয় না প্রানে ঘুরি দেশান্তরে।
অন্ধকারে নিপতিত হয়েছে দেশের সর্বজন
তাই তো মোরে দুষ্ট বলে ছাড়া হৃদয়ের অন্বেষন।
বাধা-বিঘ্ন কঠিন তোরন পার হলেই পরে
গিলতে হয় মস্ত ধাওয়া মুরুব্বি জগতে।
মোর কষ্ট কেউ বুঝে না এই না ভুবনে
ভেবেছিলাম সুখী হব মায়াময় ধরাতে।
সুখের ছায়া খুজতে গিয়া হলাম দিশেহারা
বাধ্য হয়েই সারেন্ডার হল মরনের আলপনা।।
 

বাড়ি

বাড়ি, বাড়ি আমার বৈঠাখালী
গ্রামটি বেশ চমৎকার 
থমকে যায় সব মাঝি
এটা কি কারও হাতিয়ার।
মর্মভেদ পাবে যথেচ্ছা
যাও যদি ভাই খুঁজতে
বিলের পাশে মস্ত বিদ্যালয়টা
ভারী মজা দর্শনে।
মাঝখান দিয়ে চলে গেছে শহরের পথ
কেউ হব না দিশেহারা
সবাই মোরা করেছি পন
হব না কেউ পিছ পা।
রাজ্যের মধ্যে ছোট্র রাজ্য 
এটাই মোদের অহংকার।


 আঁড়ি

যদুর বাড়ি কদুর মিষ্টি
আয় তোরা সবাই ছুটে
যাব যদুর নীরব বাড়ি
মিষ্টি খেয়ে পেট পুরতে।
তাল তমালের ছায়া ঘেরা
কালো ভোমরা সেথা ঢের
কেই তোরা ভয় করিস না
গুন আছে বিধাতা মহত্বের।
সবাই তোরা হবে মহিসী
বাংলা মায়ের বুকে
সবুজ শ্যামল মোদের সাথী
ভয় করিস না যদুকে।
যদুর চেয়ে কদুই বড়
আমরা যদি চিনতে জানি
প্রকৃতির বড় অমৃত তান্ডব
দেশবাসী মোরা সবে মানি।।

মুজিব সেনা 

মুজিব সেনা মুজিব সেনা বীরবাহুর দল
কষ্টিকালেও হারাবে না নিজের মনোবল।
ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে মুক্ত হল দেশ
সেভালেই তো চলে গেছে অনেক মাতৃকেশ।
মুক্তিকামী বঙ্গবাসী অদৃষ্টের ভীড়ে
অজস্র বেদনার স্বাধীনতা ডুবছে সাগরে।
রাজাকার হানাদার সবে আজ কোটিপতি
স্বাধীনতার সংগ্রামী দল আজ ভিক্ষের অধিপতি।
সত্যের ভারসাম্য মুক্তি নিয়ে ঘুরছে মুজিব সেনা
তাদের আশা ধুলিসাৎ পুড়ে হল আঙ্গারা।
মুক্তি মুক্তি মুক্তি করেও যারা হল না সফল
ধরার তরে সন্মানী না হলে কিয়ামতে হবেনা বিফল।
রাজাকারের বাহাদুরি শুধুই মাটির বুকে
কেয়ামতে জ্বলতে হবে তাদের ধুকে ধুকে।
মুক্তিকামী মুজিব সেনা জয়ী হবেই হবে
ভক্তি আছে তাদের রক্তে বিধাতার ডরে।
 উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে মোদের কেশ
সেভালেও তো অকৃতগ্ঙে ছেয়ে গেছে বেশ।
মোরা ভেবে দেখি না দেশ ছিল কোথায় ?
নোংরামী আর ভন্ডামীতেই চলছিল হেথায় ।


হৃদয়

প্রানেশ্বরী বন্ধু আড় নয়নে দৃষ্টি দিও না 

মিষ্টি কথা আর ছলনায় মন উজার করো না।
তুমি যে শুধু বন্ধু আমার চোখের আলো।
আমায় দর্শনে কভু ঠোটঁ করোনা বাঁকা
আমি যে তোমার পাগলামো বুঝতে পারিনা।
ব্যথিত হৃদয়ে আর দিও নাকো প্রচন্ড ব্যথা
সংগিনী হলে ভুলে যাব সব দুঃসময়ের কথা।
শত বিড়ম্বনার মাঝেও ভুলিব না তোমায়

যদি গো বন্ধু হৃদয়ে দাও প্রচন্ড ঠাঁয়।
দুঃসহ যন্ত্রনা দিওনাকো কভু মূর্খ ছলনা
দীক্ষায় দীক্ষিত হবে মরনে হবে আলপনা।
জাগ্রত হৃদয়ে জেগে থাক তুমি অম্লান হয়ে
আমি তো কভু ভুলিব না তোমায় ধরার বিনিময়ে।

মর্মব্যথা 

বিরহের  বৃষ্টি ঝরা লগ্নে দাঁড়িয়েছিল জি,এম ভাই
কাননের সবগুলো পাপড়ির দিকে সবে তাকাই।
বড় পার্থক্য লক্ষ্য করেছিলাম জিএম ভাইয়ের দৃষ্টে
নিকুন্ঠ মিনতির সুরে পরীক্ষালব্দ সময়ের ভীড়ে।
নয়তঃ কাংগাল সেজে ভিখারীর ছদ্মবেশে দাঁড়িয়েছিল
অবাক নিপীড়িত দৃষ্টে বৃষ্টির পদচারনায় তাকিয়েছিল।
প্রশ্ন করেছিল মোরে লিখতে পারব কিনা দু'কলম
হতভাগা আমি শুরুতেই তার মনঃস্থির করলাম।
অসংখ্য বেদনা নিক্ষেপ করেছিল বৃষ্টির ঘনছটায়
খুঁজে পেয়েছে কি সুখ, সেই বিরহের ক্ষনটায়।
হৃদয় নিংড়ানো বেদনা যায় কি মিশে বৃষ্টিতে
গড়তে হবে মাতাল মনকে অজস্র ছলনার চিত্তে।
বলব নাকো খাঁটি করে জিএম ভাইয়ের বেদনা
কিসের জন্য পুড়ছে সে গ্ঙ্যত সবজনা।

কর্ম

ধরনীকে গড়ো তোমরা বিত্তশালীর মত
ধর্ম কর্ম নির্বিশেষে আছো যত উম্মত
বসে থেক না চুপটি করে কর্ম ধর শক্ত হস্তে
লাজ লজ্জা তড়াও করে স্বাধীন কর মনটাকে।
স্বাধ্যমত কাজে লাগাও দুঃস্ত মানবেতর
ভিক্ষাবৃত্তির কলংক মুছে ফেল সব বেকর।
হৃদয়টাকে শক্ত করো সব কালিমা মুছিয়ে
স্বাধীন হয়ে যাও স্বর্গের অম্লত্ব গুছিয়ে।
বিধাতার দয়ার কান্ডারী হয়ে কেঁদ না
দয়া করবে রিক্ত হস্তে শক্ত মুঠোয় বিধাতা
সকাল সন্ধ্যা নৃত্যের তালে মশগুল  থাক এবাদতে
গৃহকে সজ্জিত কর স্বয়ং অপূর্ব কৌশলে।
স্বাচ্ছন্দ আনতে পারে স্বর্গের মত মূহূর্তে বিধাতা।
 

নোংরানীতি

কাঠ ঠোকরা কাঠ কেটে যায় গহীন অরন্যে
বোমাবাজ বোমা ফাটায় দলের সৌজন্যে।
বন্যপ্রানী কাঠ ঠোকরা বনেই মাতোয়ারা 
বোমাবাজ মানব হয়েও মানবকে করছে সর্বহারা
দুর্নীতিবাজ হয়েও যারা ক্ষমতায় আসীন
তারাই তো ভাই গেয়ে বেড়ায় হাজি মহসিন।
নোংরানীতি নিয়ে তারা ঘুরছে অহরহ
ভোটে হয় কারচুপি ক্ষমতা গেল গলগ্রহ। 

নববধু

ওগো নব দম্পতি প্রান চন্চলা 
বাসরক্ষনে করো কুটির উজালা
মিষ্টি মুখর রাত্রিতে মুখ করো না ভার
দৃষ্টি গোচরে পড়ে যাবে বিধাতার। 
অন্তরে গেঁথে রেখ পতির স্বরনি
যার তরে হবে তুমি বেহেস্তগামী।
শান্তি পাবে দুর্জয় আখেরাতে 
সেবা করলে শ্বশুর শাশুড়ীকে।
চুপ থেক না ওগো প্রিয়সী
অদ্যই দু'জনা দু'জনকে চিনি।
পরিশ্রান্ত ধরার অন্তরায়
সুখি হবে সেবা করলে সকালায়।
ভক্ত হও সকলের অগোচরে 
বিত্তশালী দেখিওনা জীবনের তরে।
তোমা তরে  হবে সব শুকরিয়া
প্রিয়সী ধন্য হবে তবে স্বর্গে গিয়া।

প্রীতি

গ্রহ নক্ষত্রের পালা উপগ্রহ করে খেলা
সৃষ্টিল যেজন সেই তো ভাসাল ভেলা।
মনের মুকুরে তুমি শুধু আছ বসে
হৃদয়টা  ক্ষনে ক্ষনে যায় গো ভেসে। 
সৃষ্টির অবলোকন দাঁড় বেঁধে সারি সারি 
অকুন্ঠ চিত্ত সম বিঁধল সকল নরনারী।
প্রেম, প্রীতি, ভালবাসা আছে এই ভবে
নিরাশ হইওনা কভু ভালবাসার তরে।
পুষ্প যখন ফুটিবে নিরন্তন সেথা
দর্শন পাবে তুমি প্রেমিকের হেথা।
কূল ভাংগা ঢেউ আর রোদ ভাংগা মেঘ
নিত্যনব কূটিলতা জানবে না ঢের।
শোকাশ্রু বইয়ে দিও না প্রীতির তরে
প্রীতি কর তার সাথে যে পাঠাল ভুবনে।
অজশ্র শান্তি কামনায় কর প্রীতি
তাহলে শান্তি পাবে মানব দীর্ঘ রজনী।

নিঃশ্বাস

উর্ধাকাশে তাকিয়ে যারা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে,
তারাই তো ভাই হতচ্ছাড়া এই না ভুবনে।
দিনভর আহাজারি হৃদয়ে হয়রানি
ফ্যাকাশে মুখটা কালো মেঘের ছায়ায় দেয় পদধূলি।
নোংরামির অবকাশ গ্রহনে সিদ্ধান্তের ভালে
সত্যের শেখর স্তম্ভিত করেছো নিয়তির তালে।
রাঘব বোয়ালের দুঃশ্চরিত্রে পরে গেছে ধরা
হুংকার ছেড়ে পিছিয়ে যায় নেই তো নড়াচড়া।
ভয় ভীতি পেয়েও যারা আছে অনাহারে 
তাদের কষ্টের সীমা নেই এই না ধরাতে।
ব্যাঙের ন্যায় গোংড়াতে থাকে হ্দয় প্রান্তরে
ঠাঁয় তো ভাই তাদের নেই দশের অভ্যন্তরে।
অর্ধহারে অনাহারে কাটিয়ে দিচ্ছে কাল
তারাই তো ভাই শাহান শাহ্ বিধাতার পরকাল।
গুন্জনার হতাশ নিয়ে করছে দেশ প্রীতি অহরহ
লক্ষকোটি মানবের মাঝে সাজছে নিস্কলংক।।
 


কালিদহ

কালিদহ বিলের ধারে আছে কত অরন্য
তার দর্শনে মোরা সবে কাহিনীর বরেন্য।
বাঁশ ঝুঁপের ছায়ায় ঘেরা ছোট্র যে কুটির
সেখানেই তো বাস করছি হয়ে বধির।
বধিরতার গভীরতলে ছুড়িও না মোরে 
সৃষ্টিকর্তার প্রকৃতির দাবানলে আছি ঢুকে।
ছোট্র সেই ব্রীজটা বয়ে এনেছে অতি গুন্জন
কেউ হবে না পিছ পা সুমিষ্ট মনোরন্জন।
স্নানাদির অজুহাতে যেতাম ব্রীজটির কূলে
আধ বেলা কাটিয়ে দিতাম লম্ফ জম্ফে।
দীর্ঘায়িত অরন্যে শিয়ালের হুক্কা হুয়া ডাক
গর্বে মোদের ভরে যেত পল্লীর অবদান।
অপর প্রান্তে জুড়ে আছে ঈদগাহ মাঠ
বিশাল প্রাচীর ঘেরা তার চারি ঘাট।
আরেক প্রান্তে  জুড়ে আছে বিদ্যালয় মাঠ
সে কাহিনী বলতে গেলে হই আটসাট।
শতেক বছরের জীর্ন সম্ভারে বিদ্যালয়টি
গেয়ে যাচ্ছে হৃদয়ের গান কেয়ামত অবধি।
তার গড়ানো জর্জ ব্যরিষ্টার কত মিনিষ্টার
অনুসন্ধান  করে নাতো জীর্ন পাঠাগার।
আমার বড় শ্রদ্ধা জীর্ন পাঠাগারকে
তার পরশে স্বাচ্ছন্দ সন্মান পেয়েছি ধরার বুকে।
অকৃতজ্ঞের ছোবলে যার ছেয়ে গেছে অন্তর
জবাবদিহি করতে হবে বিধাতার কাছে একান্ত।।
 

বঙ্গবন্ধু

লৌহকাননে প্রদীপ্ত উজ্জল শিখা প্রজ্জলিত করে
জন্মেছিলে হে বঙ্গবীর মুজিব টুংগিপাড়াতে
শোভাকাংখী হয়ে এসেছি মোরা আজ তোমার
সমাধিস্থ সমাধি প্রকল্প করতে নির্মান।
ধন্যপিতার ধন্য ছেলে মরনকে করনিকো ভয়
তাই তো তোমার মৃত্যু হয়েছে শহীদি কায়দায়।
তোমার স্বপ্ন স্বাধ ছিল বাংগালীর সেবা কার্যে
মোরা তো অকৃতঙ্ঘ হিংসে করছি তোমাকে
অবহেলার কুন্ঠিত ভালে জড়িয়ে নিপাত কল্পে
রাষ্টদ্রোহিতার হীনমন্যতা নিয়ে ধ্বংস করেছে। 
স্বপ্ন নিঘুর হে বঙ্গবীর তোমায় স্বরি প্রতিক্ষন
যাইনি তো ভুলে তোমার প্রীতিসম স্বপ্ন সাধ।
সহসা পড়ে মনে হে মুজিব তোমার স্বদেশ প্রেম
মোদের অনন্ত মনস্কাম শুধু তোমা ঢের।
হায়রে পিশাচের দল রাজাকার হানাদার
বঙ্গবীরকে সমাধিস্থ করে হলে পাহারাদার।
শেখ কন্যা তো নহি নির্দয় দেশ ও দশের তরে
তবুও সে চোখের জলে দেশ সেবিছে অকুতভয়ে।
পিতার স্বপ্ন সাধ নিয়ে ঘুরছে দেশান্তর
তবুও বাংগালী খুশী নয়কো দুর্নীতি করছে অবান্তর
হুশিয়ার সাবধান হে দুষ্ট চক্র বাংগালী
নিজের পায়ে কুড়াল মেরে হইও না কাংগালী

প্রনোদনা
হে বাংলার দুঃস্থ, দরিদ্র জনগন
আপনারা মোর দেশ জয়ের মনোবল,
দুঃস্থদের নিয়েই এখন বড় কল্পনা
কেমনে সাড়াব মুই তাদের যন্ত্রনা।

দিনরাত গুঁজে যায় মোর শুধু দেশের চিন্তায
তার মধ্যে বেশীর ভাগই দুঃস্থদের আত্বায়,
পারব কিনা পারছি তাদের করতে মঙল
কর্মীদের মধ্যে পাচ্ছি বড় কোন্দল।

যেভাবেই যখন সেবিতে চাহি দুঃস্থদের
প্রনোদনার ভরাডুবি করছে দলের কর্মী মোদের,
ভেবেছিলাম দুঃস্থদের কল্যানে জীবনটা সেবিতে
হায়রে বাঙাল বড় কাঙাল দেয়না মোরে রইতে।

এবার থেকে প্রনোদনায় পড়বে বড় হুংকার
দু'নম্বরী করলেই নেতাদের পড়বে ঝংকার,
ঝংকারযুক্ত নেতাদের করব না আর এলাউ
যদি ঘরে বসে চুপটি মেরে না থাকতে চাও।।।






 




কোন মন্তব্য নেই: